নেত্রকোনা-৪ (মদন-মোহনগঞ্জ-খালিয়াজুরি) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব সাজ্জাদুল হাসানকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বেসরকারীভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।
সোমবার বিকেল চারটায় এ বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ময়মনসিংহ আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন চৌধুরী।
সাজ্জাদুল হাসান প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব। বর্তমানে তিনি আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক উপকমিটির সদস্য।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাজ্জাদুল হাসান ছাড়া আর কোনো প্রার্থী নির্ধারিত সময়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেনি। সেই হিসাবে সাজ্জাদুল হাসানকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
গত ১১ জুলাই এই আসনের সংসদ সদস্য রেবেকা মমিন মারা যাওয়ায় ১৫ জুলাই নির্বাচন কমিশন আসনটি শূন্য ঘোষণা করে তফসিল ঘোষণা করে।
জানা গেছে, স্বাধীনতার পর থেকে নেত্রকোনা-৪ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন আবদুল মমিন ও তাঁর স্ত্রী রেবেকা মমিন। ১১ জুলাই রেবেকা মমিন মারা যান। তাঁর মৃত্যুতে শূন্য আসনটিতে উপনির্বাচন নির্ধারণ করে তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয় সাজ্জাদুল হাসানকে।
এই আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে ফরম কিনেছিলেন আরও আটজন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম নব্বইয়ের ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতা শফি আহম্মেদ, মোহনগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদ ইকবাল, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপকমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মমতাজ হুসেন চৌধুরী ছিলেন।
মদন, মোহনগঞ্জ ও খালিয়াজুরি নিয়ে গঠিত আসনটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৪৬৭ জন। এর মধ্যে মদনে পুরুষ ভোটার ৬৫ হাজার ৫৭০ জন, নারী ভোটার সংখ্যা ৬৬ হাজার ৫৯০ জন, মোহনগঞ্জে পুরুষ ভোটার ৭২ হাজার ৪২৭ ও নারী ভোটার ৭২ হাজার ১৯ জন আর খালিয়াজুরিতে পুরুষ ভোটার রয়েছেন ৩৮ হাজার ১০২ জন ও নারী ভোটার সংখ্যা ৩৬ হাজার ৭৪৭ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার আছেন ১২ জন।